সম্পত্তি বা নগদ অর্থ আয়কর বিবরণীতে দেখাতে হলে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে?

/, Tax Filing, Tax return/সম্পত্তি বা নগদ অর্থ আয়কর বিবরণীতে দেখাতে হলে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে?

সম্পত্তি বা নগদ অর্থ আয়কর বিবরণীতে দেখাতে হলে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে?

আয়কর রিটার্ন দাখিল করার মূল ফরমের সাথে কিছু আলাদা বিবরণী জমা দিতে হয়। এর মধ্যে সম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী অন্যতম। তবে এই বিবরণী দাখিল করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক না। অর্থ আইন ২০২০ অনুযায়ী মোট পরিসম্পদের পরিমান ৪০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে এই বিবরণী দাখিল করার বাধ্যতামূলক।

যদি আপনার মোট পরিসম্পদের পরিমান ৪০ লাখ টাকার নিচে হয় তাহলে এই বিবরণী আপনার জন্য বাধ্যতামূলক না। আর যদি অতিক্রম করে তাহলে আপনাকে এই বিবরণী দাখিল করতে হবে। তাহলে কিভাবে আপনি সম্পদ দেখাবেন? কোন বিষয়গুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে?

প্রথমেই আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনার প্রকৃতপক্ষে যা আছে আপনি তাই দেখাবেন। আপনার যা নেই তা দেখাতে গেলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে। কেউ কেউ হয়তো আপনাকে বলবে, বেশি করে দেখিয়ে দিতে। কিন্তু আপনি যদি অল্প বেতনে চাকরি করেন বা আপনার করযোগ্য আয় যদি কম থাকে কিন্তু তার তুলনায় আপনার সম্পদের পরিমান যদি অস্বাভাবিক থাকে তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে।

তাই যাতে প্রশ্ন না উঠে তা আপনাকে বিবেচনা করতে হবে। আপনি হয়তো শুনেছেন, সোনা বেশি করে দেখিয়ে দিতে। যেমন, ৪০/৫০ ভরি। কিন্তু আপনার সত্যিকারে এতো সোনা নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সোনা উপহার পেতে। জন্মদিন, বিয়ে বা অন্যকোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমরা সোনা পেয়ে থাকি বা দিয়ে থাকি। আমরা যখন সোনা উপহার হিসেবে পাই তখন তার মূল্য অনেক সময়ই জানা থাকে না। তাই আপনি পরিমান উল্লেখ করে গিফট হিসেবে পেয়েছেন লিখে দিবেন। তাহলেই হবে।

কিছু সময় যিনি উপহার দেন তিনি সাথে সোনা ক্রয়ের রশিদ দিয়ে থাকেন। এটা দিলে ভালো। কারন, আপনি যে সোনা উপহার হিসেবে পেয়েছেন তার প্রমান দেখাতে পারবেন। রশিদে যিনি ক্রয় করেছেন তার নামই থাকবে। তাই এতে বুঝা যাবে আপনি সোনা উপহার হিসেবে পেয়েছেন।

আপনি যদি উপহার পাওয়া সোনার মূল্য উল্লেখ করতে চান তাহলে আপনার আয়ের সাথে ব্যয় এবং সম্পদ বৃদ্ধি মিলাতে পারবেন না। কারন, আপনি নিজে টাকা দিয়ে ঐ সোনা কিনেন নি। তাই ফাঁকা রাখাটাই ভালো।

হাতে নগদ দেখানোর ক্ষেত্রেও বেশি করে যেমন ১০/২০ লাখ দেখিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কিছু সময় দেখা যায়। বেশি করে দেখিয়ে দিলে ভবিষ্যতে কাজে আসবে। কিন্তু এই যে বেশি করে দেখিয়ে দিবেন তা উত্তর দিতে পারবেন কিনা তা ভাবা উচিত। কিছু সময় দেখা যায়, বাবা বা মা ছেলেমেয়েকে বড় অংকের টাকা দিতে। এটা হতে পারে ব্যবসা করার জন্য বা ফ্ল্যাট, জমি কেনার জন্য। বাবা-মা ছেলেমেয়েকে টাকা দিতেই পারেন। কিন্তু এই টাকা কিভাবে দেওয়া হয়েছে সেটা আসলে বিবেচনার বিষয়।

আপনি যদি নগদে পেয়ে থাকেন তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কারন, আয়কর কর্মকর্তা উৎস জানতে চাইলে আপনি মৌখিকভাবে শুধু বলতে পারবেন বাবা বা মার কাছ থেকে পেয়েছেন। এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি টাকাটা ব্যাংকিং চ্যানেলে নেন তাহলে আপনি আপনার বাবা বা মার ব্যাংক বিবরণী এবং আপনার যে ব্যাংক বিবরণী দেখাতে পারবেন। এতে করে আর কোন সমস্যা হবে না।

এর বাইরে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সম্পদের অধিকারী হয়ে থাকি। আপনি যেভাবেই সম্পদের অধিকারী হোন না কেন তার জন্য আপনি যথাযথ প্রমান হিসেবে কাগজপত্র রেখে দিবেন যাতে করে রিটার্নের সাথে দিতে পারেন।

এখন অন্যের পরামর্শে আপনি যদি বেশি করে দেখিয়ে দেন তাহলে ভবিষ্যতে কর কর্তৃপক্ষ অডিটের জন্য আপনার ফাইল নির্বাচন করে তাহলে আপনি কি উত্তর দিবেন? এই বিষয়টা আপনাকে আগেই ভাবতে হবে।

আপনি জেনে আনন্দিত হবেন, bdtax.com.bd– এর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি অতি সহজে এবং খুবেই অল্প খরচে আপনার আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারবেন। আর তাই আপনার রিটার্ন সহজে ও কম সময়ে করতে চাইলে আজই রেজিস্ট্রেশন করুন। 

জসীম উদ্দিন রাসেল

By | 2022-05-16T09:55:39+00:00 November 22nd, 2020|Income Tax, Tax Filing, Tax return|0 Comments

About the Author:

Leave A Comment

*


Notice: Undefined offset: 0 in /var/www/blog-bdtax/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924
Shares
error: Content is protected !!