করমুক্ত আয় এবং রেয়াতযোগ্য আয় কি ? এবং তা আয়কর নির্ধারনে কি প্রভাব ফেলে ?

/, Tax Filing, Tax Rebate, Tax return/করমুক্ত আয় এবং রেয়াতযোগ্য আয় কি ? এবং তা আয়কর নির্ধারনে কি প্রভাব ফেলে ?

করমুক্ত আয় এবং রেয়াতযোগ্য আয় কি ? এবং তা আয়কর নির্ধারনে কি প্রভাব ফেলে ?

আমরা যখন রিটার্ন দাখিল করি তখন আয়কর বিবরণীতে সকল আয়ই দেখাতে হয়। কিন্তু কর দিতে হয় কেবল মাত্র করযোগ্য আয়ের উপর।

তাহলে করমুক্ত আয় হলো, যে আয়ের উপর ট্যাক্স দিতে হয় না। যেমন, আপনার যদি দেশের বাইরে আয় থাকে এবং সেই আয় যদি আপনি ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসেন তাহলে তার উপর ট্যাক্স দিতে হয় না। অর্থাৎ এই আয় আপনার করমুক্ত আয়।

একটা কথা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা শুধু করযোগ্য আয়ের উপরই ট্যাক্স দিয়ে থাকি এবং করযোগ্য আয় বের করে তার উপর আমাদের কর দায় গণনা করি।

মোট করদায় থেকে কর রেয়াত বাদ দিয়ে নীট কর দায় বের করতে হয়। বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী করযোগ্য আয়ের ৩% কর রেয়াত হিসেবে দেখানো যায়। তাহলে কর রেয়াত বের করার আগে করযোগ্য আয় বের করতে হবে।

করমুক্ত আয় এবং আয়কর রেয়াত কীভাবে কর নির্ধারনে প্রভাব ফেলে?

প্রথম কথা হলো করযোগ্য আয়ের উপরই আমাদের ট্যাক্স দিতে হয়। তাই আমাদের প্রথমেই করযোগ্য আয় নির্ণয় করতে হয়।

যেমন, কেউ যদি চাকরি করেন তাহলে তিনি চাকরি থেকে যে মোট বেতন পান তার এক তৃতীয়ংশ অথবা সাড়ে চার লক্ষ টাকা দুটির মধ্য যেটি কম তা বাদ দিয়ে করযোগ্য আয় বের করতে হয়।

আবার যেমন উপরে বলেছি, কেউ যদি ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে বাইরে থেকে অর্জিত আয় দেশে নিয়ে আসেন তাহলেও তা করমুক্ত। অর্থাৎ, এই আয় করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। মোট কথা হলো, করমুক্ত আয় আপনার কর নির্ণয়ে কোন প্রভাব ফেলে না। আপনার কর দায় বৃদ্ধি পায় না।

তাহলে আমরা জানলাম করমুক্ত আয় কি এবং কীভাবে তা আপনার কর নির্ধারণে প্রভাব ফেলে।

কর রেয়াত পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ বা অনুদান দিতে হয়। কেবল তাহলেই সেই বিনিয়োগ বা অনুদানকৃত টাকার উপর কর রেয়াত পাওয়া যায়।

করযোগ্য আয়ের ৩% অথবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ বা অনুদানের ১৫% দুটির মধ্যে যেই কম সেটি কর রেয়াত হিসেবে দেখানো যায়। তাই করযোগ্য আয়ের সর্বোচ্চ ৩% পর্যন্ত আয়কর রেয়াত আপনি পাবেন যদি আপনি অর্থ বছরে নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ বা অনুদান করে থাকেন। এই বিনিয়োগের সুবিধা দুই ধরনের।

একদিকে বিনিয়োগ করলে একটা সময় পরে বড় একটা অঙ্ক পাওয়া যায় যা দিয়ে কোন বিশেষ কাজে লাগানো যায়।

আরেকটি সুবিধা হলো, আপনি যেই বছর বিনিয়োগ বা অনুদান দিবেন সেই বছরই তার উপর নির্দিষ্ট হারে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যা অনেকাংশে আপনার করদায় কমিয়ে দিবে।

তাহলে আমরা জানলাম কীভাবে কর রেয়াত আয়কর নির্ধারণে প্রভাব ফেলে।

প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত আপনি বিনা জরিমানায় আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে নির্ধারিত সময়ের পর রিটার্ন মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে আপনাকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে যেমন: আপনি কর রেয়াতের সুবিধা নিতে পারবেন না। 

এখন আপনি চাইলেই অনলাইনে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ঘরে বসেই আপনার রিটার্ন তৈরি করতে পারেন। উপরে যে হিসেব আলোচনা করা হল  তা আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই পেতে পারেন। এজন্য রয়েছে bdtax.com.bd এখানে রেজিস্ট্রেশন করে নিজেই তৈরি করে ফেলুন আপনার আয়কর রিটার্ন।

জসীম উদ্দিন রাসেল

By | 2024-05-26T05:16:22+00:00 October 16th, 2018|Income Tax, Tax Filing, Tax Rebate, Tax return|2 Comments

About the Author:

2 Comments

  1. MD.NAYEEM UDDIN KHAN October 19, 2018 at 6:10 am - Reply

    Thanks

Leave A Comment

*

Shares
error: Content is protected !!