করমুক্ত আয় এবং রেয়াতযোগ্য আয় কি ? এবং তা আয়কর নির্ধারনে কি প্রভাব ফেলে ?

/, Tax Filing, Tax Rebate, Tax return/করমুক্ত আয় এবং রেয়াতযোগ্য আয় কি ? এবং তা আয়কর নির্ধারনে কি প্রভাব ফেলে ?

করমুক্ত আয় এবং রেয়াতযোগ্য আয় কি ? এবং তা আয়কর নির্ধারনে কি প্রভাব ফেলে ?

আমরা যখন রিটার্ন দাখিল করি তখন আয়কর বিবরণীতে সকল আয়ই দেখাতে হয়। কিন্তু কর দিতে হয় কেবলমাত্র করযোগ্য আয়ের উপর।

তাহলে করমুক্ত আয় হলো, যে আয়ের উপর ট্যাক্স দিতে হয় না। যেমন, আপনার যদি দেশের বাইরে আয় থাকে এবং সেই আয় যদি আপনি ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসেন তাহলে তার উপর ট্যাক্স দিতে হয় না। অর্থাৎ এই আয় আপনার করমুক্ত আয়।

একটা কথা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, আমরা শুধু করযোগ্য আয়ের উপরই ট্যাক্স দিয়ে থাকি। এবং করযোগ্য আয় বের করে তার উপর আমাদের কর দায় গণনা করি।

মোট কর দায় থেকে কর রেয়াত বাদ দিয়ে নীট কর দায় বের করতে হয়। করযোগ্য আয়ের ২৫% বিনিয়োগযোগ্য ভাতা হিসেবে দেখানো যায়। যার উপর কর রেয়াত পাওয়া যায়।

কেউ কেউ এই বিনিয়োগযোগ্য ভাতাকেই রেয়াতযোগ্য আয় বলে থাকেন।

তাহলে রেয়াতযোগ্য আয় বা বিনিয়োগযোগ্য ভাতা বের করার আগে করযোগ্য আয় বের করতে হবে।

করমুক্ত আয় এবং রেয়াতযোগ্য আয় কিভাবে কর নির্ধারনে প্রভাব ফেলে?

প্রথম কথা হলো করযোগ্য আয়ের উপরই আমাদের ট্যাক্স দিতে হয়। তাই আমাদের প্রথমেই করযোগ্য আয় নির্ণয় করতে হয়।

যেমন, কেউ যদি চাকরি করেন তাহলে তিনি চাকরি থেকে যে বেতন পান তা থেকে কিছু ছাড় বাদ গিয়ে করযোগ্য আয় বের করতে হয়। কোন চাকরিজীবী যদি নগদে যাতায়াত ভাতা পান তাহলে তিনি বছরে সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পান। অর্থাৎ, যাতায়াত ভাতা বাবদ ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয় না।

আবার যেমন উপরে বলেছি, কেউ যদি ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে বাইরে থেকে অর্জিত আয় দেশে নিয়ে আসেন তাহলেও তা করমুক্ত। অর্থাৎ, এই আয় করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হবে না।

মোট কথা হলো, করমুক্ত আয় আপনার কর নির্ণয়ে কোন প্রভাব ফেলে না। আপনার কর দায় বৃদ্ধি পায় না।

তাহলে আমরা জানলাম করমুক্ত আয় কি এবং কিভাবে তা আপনার কর নির্ধারনে প্রভাব ফেলে।

এরপরই আসে রেয়াতযোগ্য আয় বা বিনিয়োগ যোগ্য ভাতা।

কর রেয়াত পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত খাতে বিনিয়োগ বা অনুদান দিতে হয়। কেবল তাহলেই সেই বিনিয়োগ বা অনুদানকৃত টাকার উপর কর রেয়াত পাওয়া যায়।

করযোগ্য আয়ের ২৫% বিনিয়োগযোগ্য ভাতা হিসেবে দেখানো যায়। এই রেয়াতযোগ্য আয়ের সুবিধা দুই ধরনের।

একদিকে বিনিয়োগ করলে একটা সময় পরে বড় একটা অংক পাওয়া যায় যা দিয়ে কোন বিশেষ কাজে লাগানো যায়।

আরেকটি সুবিধা হলো, আপনি যেই বছর বিনিয়োগ বা অনুদান দিবেন সেই বছরই তার উপর নির্দিষ্ট হারে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যা অনেকাংশে আপনার কর দায় কমিয়ে দিবে।

তাহলে আমরা জানলাম কিভাবে রেয়াতযোগ্য আয় আয়কর নির্ধারনে প্রভাব ফেলে।

প্রতি বছরই নভেম্বর মাসে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনেকেই এই মেলায় ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়ে থাকেন। তাই আগে থেকেই রিটার্ন তৈরির কাজ শুরু করে দিন।

এখন আপনি চাইলেই অনলাইনে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ঘরে বসেই আপনার রিটার্ন তৈরি করতে পারেন। উপরে যে হিসেব আলোচনা করা হল  তা আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজেই পেতে পারেন।

এজন্য রয়েছে bdtax.com.bd. এখানে ফ্রীতে রেজিস্ট্রেশন করে নিজেই তৈরি করে ফেলুন আপনার আয়কর রিটার্ন।

জসীম উদ্দিন রাসেল

By | 2022-04-07T04:56:28+00:00 October 16th, 2018|Income Tax, Tax Filing, Tax Rebate, Tax return|2 Comments

About the Author:

2 Comments

  1. MD.NAYEEM UDDIN KHAN October 19, 2018 at 6:10 am - Reply

    Thanks

Leave A Comment

*


Notice: Undefined offset: 0 in /var/www/blog-bdtax/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924
Shares
error: Content is protected !!