১১ জুন ২০২০ জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। বাজেট আমাদের সবার কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারন, বাজেট থেকেই আমরা জানতে পারি, সরকার আগামি এক বছর আমাদের জন্য কি করবে। করের চাপ বাড়বে না কমবে? এই প্রশ্ন আমরা যারা করদাতা তারা সবাই করে থাকি।
২০১৫-১৬ কর বর্ষের পর ব্যক্তি করদাতাদের কর মুক্ত আয়ের সীমা বাড়েনি। তখন থেকেই আড়াই লাখ টাকা চলে আসছে। প্রতি বছরই যখন বাজেটের সময় আসে তখন বিভিন্ন মহল থেকে করমুক্ত সীমা বৃদ্ধি করার দাবি করা হয়। এর পিছনে যুক্তি থাকে মুদ্রাস্ফীতি, দেশ উন্নত হচ্ছে, পাশের দেশ ভারতে আমাদের থেকেও কর হার কম ইত্যাদি।
কিন্তু প্রতিবারই বাজেট পাস হওয়ার পর ব্যক্তি করদাতারা হতাশ হয়েছে। একদিকে সরকার প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়িয়ে আসছে, যার কারনে অনেকেই সমালোচনা করেন বাজেট উচ্চাবিলাসী। আর তার প্রভাব পড়ে এসে করদাতাদের উপর।
এবার যখন করোনাভাইরাস মহামারি আকারে রূপ নেয় তখন সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের বেচা-কেনা বন্ধ হয়ে যায়। ২৬ মার্চ থেকে এই অচল অবস্থা চলছে। ব্যবসার অবস্থা নাজুক থাকার কারনে কর্মীদের ঠিক মত বেতন দিতে পারছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেতন আংশিক হ্রাস করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ হারিয়েছেন তাদের চাকরি।
এই নাজুক অবস্থার কারনে এবার ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত সীমা বাড়ানোর জোড়ালো দাবি উঠে। কয়েক সপ্তাহ আগে মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়, আগামি বাজেটে ব্যক্তি করদাতাদের জন্য দুইটি সুখবর রয়েছে।
একটি হলো, করমুক্ত আয়ের সীমা বেড়ে শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকা হতে পারে। আরেকটি হলো, কর হার ১০% থেকে কমে ৫% দিয়ে শুরু হতে পারে। এই খবর ব্যক্তি করদাতার মধ্যে স্বস্তি নিয়ে আসে। এবং শেষ পর্যন্ত এই দুইটিই পুরণ হয়। কিন্তু ইতোমধ্যেই যারা আয়কর নিয়ে কাজ করেন তারা একজন করদাতা যদি বিভিন্ন ধাপে আয় হয় তাহলে তার প্রভাব কি পড়ে তা দেখিয়েছেন। এ থেকে দেখা যায়, কম এবং বেশি আয় যাদের আছে তারা সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী।
আর মধ্যম আয়ের করদাতারা তুলনামূলক তাদের চেয়ে অনেক কম সুবিধাভোগী। এখন এই নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে ৩০ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কারন, এই দিনই জাতীয় সংসদে বাজেট পাস হবে।
আরেকটি খবর সবাই হয়তো ইতোমধ্যেই লক্ষ করেছেন, টিন থাকলেই দিতে হবে আয়কর রিটার্ন। প্রায়ই মিডিয়াতে খবর আসে, টিনধারি আছেন ৫৫ লাখ, কিন্তু রিটার্ন দাখিল করেন ২২ লাখ। আবার টিন নিলেই যেহেতু রিটার্ন দাখিল করতে হয়না তাই অনেকেই উৎসাহবশত টিন নিয়ে থাকেন। পরে এসব করদাতা জানতে চান, এখন কি করবেন।
এবার বাজেটে যেহেতু এই নতুন প্রস্তবা রাখা হয়েছে, তাই আশা করা যায় এখন নতুন করে যারা টিন নিবেন তারা ভালো করে ভেবে চিনতে নিবে।
শুধুমাত্র দুই ধরনের টিনধারি ছাড়া বাকি সবার জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামুলক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তারা হলেন, করযোগ্য আয় নেই কিন্তু তাকে জমি বিক্রি করতে হবে বা ক্রেডিট কার্ড নিতে হবে। এই দুই ধরনের ব্যক্তি ছাড়া সবাইকেই রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
তবে আশার কথা হল, সরকার প্রান্তিক করদাতাদের কথা চিন্তা করে মাত্র এক পৃষ্ঠার একটি রিটার্ন ফরম তৈরির প্ল্যান করছে। যদি তা আসে তাহলে অনেক সহজে এবং কম সময়ের মধ্যেই রিটার্ন পূরণ করে জমা দেয়া যাবে।
আর করোনার এই সঙ্কটের সময়ে নিশ্চিন্তে ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে bdtax.com.bd ব্যবহার করে আপনিও খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেই নিজের রিটার্ন তৈরি এবং জমা দিতে পারবেন। তাই আজই লগ ইন করুন bdtax.com.bd ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন আর রিটার্ন জমা দিন অনলাইনে।
জসীম উদ্দিন রাসেল।
সুন্দর লেখা
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
very helpful post
Thanks for your appreciation