গত ০১ জুলাই ২০২১ থেকে অর্থ আইন ২০২১ কার্যকর হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তি করদাতাদের কর গণনায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ ভাতা নির্ণয়ে যে সীমা রয়েছে তা ১.৫ কোটি টাকা থেকে কমে এক কোটি টাকায় করা হয়েছে। এখন প্রকৃত বিনিয়োগ বা করযোগ্য আয়ের ২৫% বা এক কোটি টাকা, এই তিনটি অংকের মধ্যে যেটি ছোট হবে তাই হবে একজন করদাতার বিনিয়োগ ভাতা।
সারচার্জেও এসেছে পরিবর্তন। এখন থেকে আর ন্যূনতম সারচার্জ দিতে হবে না। এবং ধাপ অনুযায়ী সারচার্জ হারেও এসেছে পরিবর্তন। এই পরিবর্তনগুলো বিবেচনায় নিয়েই আপনাকে ২০২১–২২ কর বর্ষে রিটার্ন তৈরি করতে হবে।
কর গণনা সব সময়ই একটি জটিল বিষয়। সব আয় যেমন কর গণনায় আসে না আবার যে আয় কর গণনায় আসে তা থেকে আবার কিছু অংশ বাদ যায়। আবার কিছু আয়ের উপর পৃথক হারে কর গণনা করতে হয়।
এতো সব ঝামেলা যাতে একজন করদাতার না হয় সেজন্যই BDTax একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী Tax Calculator Software তৈরি করেছে। যেখানে একজন করদাতা সাইন আপ করে খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে ঘরে বসে নিজেই নিজের আয়কর রিটার্ন তৈরি করে নিতে পারেন। সারা বছর ধরে তার আয়গুলো নির্দিষ্ট ঘরে বসালেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর গণনা হয়ে যাবে।
আপনি জেনে আনন্দিত হবেন, গত বছর পর্যন্ত BDTax শুধুমাত্র ঢাকা সিটির করদাতাদের রিটার্ন দাখিল করার সেবা দিতো। কিন্তু এ বছর থেকে চট্রগ্রাম সিটির করদাতাদের জন্যেও এই সেবা বর্ধিত করবে। এর ফলে আপনার শুন্য রিটার্ন হোক কিংবা করযোগ্য রিটার্ন হোক, এ বছরে আপনি BDTax এর মাধ্যমে ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন তৈরির পাশাপাশি আপনার নির্দিষ্ট ট্যাক্স সার্কেলে রিটার্ন জমা দেওয়ার কাজও করে ফেলতে পারবেন।
আবার করদাতা চাইলে BDTax এর নিয়োজিত ট্যাক্স কনসালট্যান্টের কাছ থেকে কর বিষয়ক পরামর্শ এবং তার রিটার্নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও নিতে পারবেন। এজন্য তাদের রয়েছে একটি দক্ষ টিম।
গত কর বর্ষ থেকে এক পাতার একটি নতুন ফরম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চালু করেছে। অনেকেই টিআইএন (TIN) নিয়েছেন কিন্তু আয় করযোগ্য সীমা অতিক্রম করেনি তাই আগে রিটার্ন দাখিল করতে হতো না। কিন্তু গত কর বর্ষ থেকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব টিআইএনধারীর জন্যই রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তারা যাতে খুব সহজে রিটার্ন ফরম পূরণ করে দাখিল করতে পারেন তাই এক পাতার রিটার্ন ফরম চালু হয়েছে। এই বছর BDTax ও এই ফরম বাস্তবায়ন করেছে। অল্প ফি তে আপনি এই রিটার্ন পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
প্রতি বছরই অর্থ আইন পাশ হওয়ার পর সফটওয়্যার আপডেট করা হয় এবং স্বনামধন্য ট্যাক্স কনসালটেন্ট দিয়ে সিস্টেমটি অডিট করানো হয়। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরই সফটওয়্যারটি ২০২১-২০২২ কর বর্ষের রিটার্ন তৈরির জন্য করদাতাদের কাছে উন্মুক্ত করা হয়।
করদাতাদের সেবা দিতে BDTax সব সময়ই আন্তরিক। তাই তারা প্রতি বছরই তাদের সেবার মান বাড়িয়ে চলেছে এবং যোগ করছে অল্প খরচে নতুন নতুন সেবা। করোনার এই বৃহত্তর বৈশ্বিক সংকটে তাই নিরাপদে ঘরে থাকুন। bdtax.com.bd এর মাধ্যমে আয়কর দিন ঘরে বসে নিশ্চিন্তে।
জসীম উদ্দিন রাসেল
আয়কর পরামর্শক এবং প্রশিক্ষক
Leave A Comment