আপনি কি চাকুরিজীবী? আপনার ই-টিআইএন বা ইটিন আছে? এবং প্রতিবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে আসছেন? আপনি যদি নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয় জানেন কীভাবে আয়কর রিটার্ন তৈরি করতে হয়। আর যারা এই বছরই নতুন আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে যাচ্ছেন তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ এখন আগের চেয়ে আয়কর রিটার্ন ফরম অনেক সহজ এবং সংক্ষিপ্ত হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ছাপানো আয়কর রিটার্ন ফরম রয়েছে, যা দিয়ে আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। সেখানে আয়কর গণনা আপনাকে হাতে-কলমে আগে করে নিয়ে তারপর মূল রিটার্ন ফর্মে বসাতে হবে। তবে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। আপনার যেসব খাতে আয় হয়েছে সেসব খাত সমূহ এবং অন্যান্য আয়কর সম্পর্কিত তথ্য bdtax.com.bd এর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়ারে বসালেই অটোমেটিকভাবে সব হিসেব করে দিবে। আপনি bdtax.com.bd এর ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে এই সুবিধা নিতে পারেন।
তবে চাকুরিজীবী করদাতাদের একেক জনের আয় একেক রকম হতে পারে। সবার যে একই রকম আয় হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। যেমন, কারো আয় বছরের মধ্যে বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে হতে পারে। কেউবা আবার দেশে বা বিদেশে কোম্পানির খরচে ঘুরতে যেতে পারেন। আবার একই অর্থ বছরে ভালো সুবিধা পেলে চাকরিও বদল করতে পারেন। যাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো ঘটবে তাদের আয়কর বের করা তুলনামূলক জটিল। আর এই জটিল বিষয়গুলোর মধ্যে থেকেই আমাদের আজকের বিষয়, আপনি যদি একই অর্থবছরে চাকরি পরিবর্তন করেন তাহলে কীভাবে আয়কর বের করবেন?
যারা বেসরকারি চাকরি করেন তারা ভালো সুবিধা পেলে চাকরি পরিবর্তন করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার আয় যদি করযোগ্য হয় তাহলে আপনি যখন আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তখন আপনাকে একটু বাড়তি কাজ করতে হবে।
প্রথমেই আপনি যে কোম্পানি থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সেখান থেকে আপনি অফিসের নিয়ম অনুযায়ী যাবতীয় কাগজ বা জিনিসপত্র যেমন বুঝিয়ে দিবেন তেমনি আপনার দরকারি কাগজপত্রও আপনি বুঝে নিবেন।
এর মধ্যে আপনি বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা মিলে যত টাকা পেয়েছেন তার একটি বিবরণী নিয়ে নিবেন। যেটাকে আমরা বলে থাকি স্যালারি স্ট্যাটমেন্টস। এবং প্রতি মাসে আপনার বেতন থেকে উৎসে কর কেটে যে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে তার চালান বুঝে নিবেন।
এবার আপনি যেই কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন সেই কোম্পানি থেকে বছর শেষে বেতন হিসেবে কত পেয়েছেন তারও একটা বিবরণী নিবেন। এবং এখান থেকেও উৎসে কর কর্তনের চালান নিবেন।
এবার আপনি যখন আয়কর গণনা করবেন তখন আপনি দুই কোম্পানি থেকে বেতনের খাত থেকে যা যা পেয়েছেন তা যোগ করে করযোগ্য আয় বের করবেন। এভাবে কর বের করে আপনি যখন করদায় পেয়ে যাবেন তারপরই আপনি আয়কর রিটার্ন তৈরির কাজে হাত দিবেন।
আয়কর রিটার্ন তৈরি হয়ে গেলে রিটার্নের সাথে পূর্বের এবং বর্তমানের চাকরি থেকে যেসব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন যেমন, দুই কোম্পানি থেকে পাওয়া বেতন বিবরণী, উৎসে কর জমা দেওয়ার চালান ইত্যাদি সাথে জমা দিবেন। তাহলেই আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়ে যাবে। আপনার আয়কর রিটার্ন অনলাইনে সহজে প্রস্তুত করতে আজই bdtax.com.bd তে রেজিস্ট্রেশন করুন।
জসীম উদ্দিন রাসেল
Leave A Comment